স্টাফ রিপোর্টার: সামান্য কোনো প্রমাণ ছাড়া স্রেফ ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে এভারেস্ট জয়ের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুসা ইব্রাহীম। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।বিবৃতিতে মুসা ইব্রাহীম বলেছেন, ‘সামান্য কোনো প্রমাণ ছাড়া স্রেফ ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে এমন একটি অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এরকম করা হলে ভবিষ্যতে শুধু পর্বতারোহণ কেন, অন্য কোনো ক্ষেত্রেই কাউকে উৎসাহিত করা যাবে না।’এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম স্বীকৃতি পেলেও শুরু থেকেই তার এই কৃতিত্ব নিয়ে বাংলাদেশের অনেকেই সন্দেহ পোষণ করে আসছিল। এ বিষয়ে একটা মামলাও চলমান রয়েছে।শনিবার বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের এক প্রতিবেদনে প্রথম ‘নেপাল পর্বত’ এর তালিকায় মুসার নাম না থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।এর পরপরই মুসা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে নেপালের লাংসিসা-রি পর্বতশৃঙ্গ জয় না করেই সনদ নেয়ার অভিযোগ তোলেন ওই অভিযানে মুসার সঙ্গে থাকা পর্বতারোহী মীর শামসুল আলম বাবু।বিবৃতিতে মুসা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ৬৭তম এভারেস্টজয়ী দেশ হিসাবে পরিণত করার পর থেকেই কিছু মানুষ জাতীয় এ অর্জনকে খাটো করার চেষ্টা করে আসছেন। ২০১০ সালেই অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক ও গবেষণা হয়। যারা সন্দেহ করছিলেন, তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণের পর তারা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নেন, মুসা ইব্রাহীম সত্যি সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন।তিনি বলেন, ‘চার বছর পর আবারও একটি পক্ষ সন্দেহের আঙুল তুলেছেন। এদের মধ্যে আমার পরে এভারেস্ট জয় করা তিনজন এভারেস্টজয়ী পর্যন্ত রয়েছেন, তাদের সাফল্যে আমি আন্তরিকভাবে আনন্দিত ও গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, তারা সম্ভবত কারও প্ররোচণায় ঈর্ষাকাতর হয়ে এ সন্দেহমূলক বিবৃতি দিয়েছেন। আমি বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করছি, তারা শুধু সন্দেহই প্রকাশ করেছেন। কোনো তথ্যপ্রমাণ হাজির করেননি।’‘নেপাল পর্বত’ এ এভারেস্টজয়ীদের নামের তালিকায় ভুল রয়েছে দাবি করে মুসা বলেন, প্রকাশনাটির ওই তালিকায় এভারেস্টজয়ী প্রথম নারী পর্বতারোহী জুনকো তাবেইয়ের নেই। ১৯৭৫ সালে এভারেস্ট জয় করা জাপানের এই পর্বতারোহী ৩৮তম এভারেস্টজয়ী। এছাড়া বাংলাদেশের এম এ মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে এভারেস্ট জয় করলেও স্মরণিকায় তার নামের পাশে লেখা আছে ২০১২ সাল। এ ধরনের আরও বেশ কিছু ‘গুরুতর’ ভুল ওই প্রকাশনায় রয়েছে বলে দাবি মুসার।