স্টাফ রিপোর্টার : ‘ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড সম্মেলন- ২০১৩’ এর বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলটি আজ ইউনূস সেন্টারে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ডেভিড জোন্স ও কেট রবার্টসন ‘ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড’ ২০০৯ এ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি লন্ডন- ভিত্তিক একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান যারা স্থায়ী নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সারা পৃথিবী থেকে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদেরকে একত্র করে। এরা একটি বার্ষীক সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে যখানে ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড -এর কাউন্সেলররা সারা বিশ্ব যে গুরত্বপূর্ন ইস্যুগুলোর/সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, সেসব বিষয়ে বিতর্ক- আলোচনা এর মাধ্যমে তার সমাধান বের করে থাকেন। অলিম্পিক ব্যাতীত ‘ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড সম্মেলন’ ই একমাত্র ইভেন্ট যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশী দেশের তরুণদের নিয়ে এতো বড় পরিসরে ইভেন্ট আয়োজন করে থাকে। ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ এর ‘ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড সম্মেলন’ এ যেসব কাউন্সেলররা অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদেরকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন –নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেল বিজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, স্যার বব গেল্ডফ, কফি আন্নান, নরওয়ের প্রিন্স হাক্কন, সেলিব্রেটি শেফ জেমি অলিভার, টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরজি এবং গায়িকা জস স্টোন।
ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড সম্মেলন- যা আগামী অক্টোবর এর ২-৫ পর্যন্ত দক্ষিন আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে, তার আয়োজকরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহনের জন্য নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ও ইউনূস সেন্টারকে বাংলাদেশ থেকে ১০ জন তরুণের প্রতিনিধিদল নিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশ থেকে ১০ জনের একটি তরুণ প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আগামী ১ অক্টোবর ২০১৩ ঢাকা ত্যাগ করবে। ভবিষ্যতে তারা তরুণ এ্যাম্বাসেডর হিসেবে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করবে। এই প্রতিনিধিদলটির মধ্যে চারজন গ্রামীণ ব্যাংক ঋণগ্রহীতা পরিবারের সন্তান, যারা গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণ নিয়ে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান কলেজ অব নার্সিং – এ অধ্যয়নরত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেল বিজয়ী কফি আন্নান ও স্যার বব গেল্ডফ এই সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন এবং জোহানেসবার্গের ২০১০ বিশ্বকাপ ফুটবল স্টেডিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ হাজার তরুণ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
বর্তমানে প্রায় ১০০ টির অধিক দেশে তাদের ১৩০ টির বেশী প্রকল্প ও উদ্যোগ রয়েছে।