ব্রেকিং নিউজ
Home | আন্তর্জাতিক | পেকুয়ায় সাবাড় করা হয়েছে সড়কের সবুজ বেষ্টনী।

পেকুয়ায় সাবাড় করা হয়েছে সড়কের সবুজ বেষ্টনী।

এহসানুল হক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি, ৭ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ ডটকম : পেকুয়ায় সহিংসতাকে কেন্দ্র কওে সড়কের সবুজ বেষ্টনীর হাজার হাজার বৃ কেটে সাবাড় কওে দিয়েছে জামায়াত শিবির ও বিএনপির কর্মীরা। হরতালের সময় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ অবরোধ করে রাখতে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীর মালিকানাধীন এসব বৃ নিধন করে সড়কের সরকারী এ গাছগুলো তারা লুট করে নিয়ে গেছে। এভাবে পেকুয়ার বিভিন্ন সড়ক থেকে পিকেটাররা অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার সবুজ বেষ্টনীর সড়কে রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির বৃ কেটে নিধন করেছে। সহিংসতার জন্য প্রাণ গেল সড়কের নিরিহ বৃগুলির। গাছেরতো কোন দোষ ছিলনা। এরপরেও সরকারী সম্পদ এসব মূল্যবান বৃ নিস্তার পেলনা পিকেটারদের হাতে। হরতালে ব্যারিকেটের নামে রাস্তার ধানে উঠতি গাছগুলি কেটে অন্যায় ভাবে লুট করেছে শিবির ও বিএনপি পন্থিরা। দেখে মনে হয়, সরকারী সম্পদ যেন লুটের মাল। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওইসব বৃওে অনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ৪০/৫০ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালের পর থেকে পেকুয়ার প্রধান সড়কসহ গ্রামীন বিভিন্ন সড়কের দু’পাশের অবশিষ্ট জায়গাগুলোতে সরকারী অর্থায়নে বনায়ন সৃজিত হয়েছে। এরপর থেকে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীর বিভিন্ন প্রজাতির বৃগুলি সংশ্লিষ্ট বিভাগের তত্বাবধানে সড়কের দু’পাশে সবুজ সমারোহ ও নয়নাবিরাম দৃশ্যে সৃজিত ছিল। সম্প্রতি মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত এর নায়েবে আমির আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পরপরই জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা রায় প্রতিহতের দাবিতে সারা দেশের ন্যায় পেকুয়াতেও শুরু কওে ভাংচুর ও তান্ডব। এরই জের ধওে সারা দেশের সাথে কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে সড়কের সৃজিত হাজার হাজার গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে ব্যারিকেট দেয়।
স্থানীয়রা জানান, মারাত্বক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সর্বত্রে আতংক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি কওে তারা নির্বিচারে এসব গাছ নিধন করলেও এতে ওদের কেউ বাঁধা দেয়নি। সংশ্লিষ্ট উপকূলীয় বন বিভাগ ছিল অসহায়। ফলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে এভাবে ৬ দিন সড়ক থেকে গাছ কেটে ফেলে। সড়ক অবরোধ করতে এসব গাছ কাটলেও অধিকাংশ স্থানে দেখা গেছে এর নাম দিয়ে জড়িত এসব লোকজন মূলত গাছগুলো লুট করেছে। দিনে কাটলেও আবার রাতে কয়েকজন মিলে গ্র“প কওে সরকারী এসব গাছ পাচার করে নিয়ে যায়। আবার অনেকে চিরাইয়ের জন্য বিক্রিও করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-পেকুয়া মগনামার প্রধান সড়কসহ উপজেলার বারবাকিয়া, শিলখালী, টইটং, রাজাখালী, পেকুয়া সদও, উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামীন সড়ক থেকে কম বেশী আনুমানিক ২ হাজারের বেশী গাছ নিধন ও লুট করা হয়েছে। এমনকি কোন কোন সড়ক থেকে পুরো গাছই কেটে উজাড় করা হয়েছে। হরতারের সময় পেকুয়ার সড়কে সবুজ বেষ্টনী সাবাড় হওয়ায় গত কয়েকদিনের মধ্যে সড়কের সবুজ সমারোহ অনেকটা ন্যাড়া হয়ে গেছে। এর ফলশ্র“তিতে মারাত্বক অস্তিত্ব হুকমির মধ্যে পড়েছে রাস্তার সৃজিত উপকুলীয় সবুজ বেষ্টনী। উজানটিয়ঢা ইউপি চেয়ারম্যান এম. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নের সড়কের গাছগুলো রেহায় পায়নি। রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এ প্রথম দেখলাম কিভাবে সরকারী গাছ লুট করতে পারে। তারা লাখ লাখ টাকার গাছ নিয়ে গেছে। রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, তার ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার সরকারী গাছ লুট করা হয়েছে।
এদিকে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে পেকুয়ার প্রশাসন মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ও পুলিশ বরইতলি মগনামা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গাছের স্তুপ সরিয়ে সড়ক উন্মুক্ত করেছে। বুধবার থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

x

Check Also

‘গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশন ইন স্পেন’ নির্বাচনে মুজাক্কির – সেলিম প্যানেল বিজয়ী

জিয়াউল হক জুমন, স্পেন প্রতিনিধিঃ সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে গঠিত গ্রেটার ...

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা

আনোয়ার এইচ খান ফাহিম ইউরোপীয় ব্যুরো প্রধান, পর্তুগালঃ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার ...