
এছাড়াও শেয়ার/ডিবেঞ্চারের বিপরীতে ঋণ প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে নির্দেশনা জারী করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১। (ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক অন্যান্য কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ২৬ক এর উপধারা (১)-এর বিধান অনুসারে নির্ধারিত একক ও সামষ্টিক সীমার অনুসরণ সব ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে।
(খ) পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ২৬ক এর উপধারা (১)-এ বর্ণিত একক ও সামষ্টিক সীমার উর্ধ্বে রয়েছে, সেসব ব্যাংক উক্ত উপধারায় প্রদত্ত সময় (আইন কার্যকর হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে) অর্থাৎ ২১ জুলাই, ২০১৬ এর মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
২। (১) পুঁজিবাজারে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর মোট বিনিয়োগের বাজারমূল্য সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে উল্লিখিত ঐব্যাংক-কোম্পানীর আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসাবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ২৫% এর বেশী হবে না। মোট বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে।
(ক) ব্যাংকের ধারণকৃত সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য;
(খ) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ২৬ এর দফা (ঙ) এর উপ-দফা (ই) এর অধীনে গঠিত পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানীগুলোতে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি (তলবী ও মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে) ও মঞ্জুরীকৃত ঋণসীমা (চলমান ঋণের ক্ষেত্রে);
(গ) পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত অপর কোন কোম্পানীকে বা কোম্পানীসমূহকে অথবা কোন স্টক ডিলারকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি (তলবী ও মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে) ও মঞ্জুরীকৃত ঋণসীমা (চলমান ঋণের ক্ষেত্রে) এবং তাদের সাথে রক্ষিত তহবিলের স্থিতি (প্লেসমেন্ট বা অন্য কোন নামে);
(ঘ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন হতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন স্টক ডিলারকে (যে শুধুমাত্র নিজের জন্য শেয়ার/ডিবেঞ্চার ক্রয় বিক্রয় করে থাকে) শেয়ার/ডিবেঞ্চারের বিপরীতে প্রদানকৃত ঋণ; তবে, শেয়ার/ডিবেঞ্চার ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন স্টক ডিলারকে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত শেয়ার/ডিবেঞ্চার এর বিপরীতে ব্যাংকার-কাস্টমার সম্পর্কের ভিত্তিতে ও অন্যান্য ব্যাংকিং নিয়মাচার পালন এবং প্রয়োজনীয় বন্ধকী দলিলাদি সম্পাদনপূর্বক ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপভুক্ত শেয়ার/ডিবেঞ্চার এর অনুকূলে যথাক্রমে বিগত ৬(ছয়) মাসের গড় বাজার মূল্যের সর্বাধিক ৭০% এবং ৬০% পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা যাবে যার সর্বোচ্চ সীমা হবে উভয় গ্রুপভুক্ত শেয়ার/ডিবেঞ্চার এর অনুকূলে মোট ৩.০০ (তিন) কোটি টাকা।
(ঙ) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন প্রকার তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা;
(২) পুঁজিবাজারে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর মোট বিনিয়োগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে না :
(ক) ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুসারে সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণে ব্যবহার উপযোগী অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র;
(খ) বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এরূপPublic Sector Enterprise এর শেয়ার/ডিবেঞ্চার;
(গ) অন্যান্য তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃতTier ২ মূলধনে বিবেচনাযোগ্য এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এরূপ সাব-ডেট ইনস্ট্রুমেন্টস;
(ঘ) সেন্ট্রাল ডিপোজিটরী (বিডি) লিঃ, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর শেয়ার ইত্যাদি।
৩। ব্রোকারেজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গঠিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা এরূপ অন্য কোন কোম্পানীকে বা প্রতিষ্ঠানকে অথবা কোন স্টক ডিলারকে ঋণ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ব্যাংকিং নিয়মাচার পালনসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্দেশিত একক ঋণ গ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমার অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪। ব্যাংক-কোম্পানীগুলোকে তাদের প্রতি মাসের শেষ কার্যদিবসভিত্তিক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী পরবর্তী মাসের ১০ (দশ) তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনে দাখিল করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্ততকৃত ছকেরSoft copy উক্ত বিভাগ থেকে সংগ্রহ করার জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, পূরণকৃত ছকেরSoft copy দাখিলের সময় প্রয়োজনীয় ফরওয়ার্ডিং এবংTICM বিবরণীর হার্ড কপিও দাখিল করতে হবে।