স্টাফ রির্পোটার : রাজনীতিতে শামীমা নূর পাপিয়ার উত্থান এবং তাঁকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার পেছনে নরসিংদী ও ঢাকার বর্তমান ও সাবেক তিন সাংসদের নাম এসেছে। তাঁদের মধ্যে ঢাকার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ সাবিনা আক্তারের (তুহিন) সঙ্গে পাপিয়ার ঘনিষ্ঠতার কথা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা প্রকাশ্যেই বলছেন। পাপিয়ার অপরাধজগৎ সম্পর্কে জানতে সাবেক এই নারী সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলা এখন তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তবে এসব মামলা তদন্ত করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে র্যাব। এ অবস্থায় এখনই ওই নারী সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন তদন্তে যুক্ত কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, সাবেক নারী সাংসদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন পাপিয়া।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক সাংসদ সাবিনা আক্তারের আশ্রয়–প্রশ্রয়ে ক্ষমতার দাপট দেখানোর পাশাপাশি বেপরোয়া জীবন যাপন করতেন পাপিয়া। মূলত তাঁর মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও কয়েকজন সাংসদের সঙ্গে পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন পাপিয়া। নরসিংদীর বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও তদবির–বাণিজ্যের পেছনেও তিনি ওই সাংসদের পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটাতেন। নরসিংদীর একটি পোশাক কারখানায় গ্যাস–সংযোগ এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কারখানা মালিকের কাছ থেকে কোটি টাকা নেওয়ার তথ্য দিয়েছেন পাপিয়া। এ ছাড়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে কিছু প্রার্থীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন পাপিয়া ও তাঁর স্বামী। সেই নিয়োগের ব্যাপারে তদবির করেছিলেন ওই সাংসদ।