ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : হিন্দু ধর্মাবল্মীদের সর্ববৃহত শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এবার ৯৭টি দুর্গা মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর প্রস্তুতি। আরমাত্র কদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহত দুর্গোৎসব। উপজেলা প্রানকেন্দ্রে কালীবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে বর্নিলসাজে এবার দুর্গোৎসব পালন হবে বলে আগাম প্রতিমা তৈরিসহ আনুসাঙ্গিক কাজ জোরে সোরে চলছে। প্রতিমা তৈরিও প্রায় শেষ পর্যায় এখন শুধু রং তুলির কাজ বাকি।জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৯৭টি দুর্গা মন্ডপে দুর্গা পুজা পালন হবে। উপজেলার ৯৭টি দুর্গা মন্ডপের মধ্যে পলাশবাড়ী নব ঘোষিত পৌর শহরের কেন্দ্রিয় দুর্গা মন্দির ও বরিশাল ইউনিয়নের বাসিদেবপুর বাজার দুর্গা মন্দির এবং পৌরসভা এলাকার জগরজানী দুর্গা মন্ডপে ব্যতিক্রমভাবে প্রতিমা তৈরীসহ বর্নীল সাজে সাজানো হয় দুর্গা মন্ডপগুলি। গত ক’বছর ধরে আমলাগছী বাজার দুর্গা মন্দিরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরী করাসহ বর্নীল সাজে সাজানোর ফলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দর্শকদের আকৃষ্ট করে তোললেও গতবার পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ানের আমবাগান দুলাল ঠাকুরের দুর্গা মন্দিরে প্রতিযোগিতা মুলকভাবে অত্যাধুনিকভাবে প্রতিমা তৈরিসহ বর্নীল সাজে পুঁজা মন্ডপ সাজিয়ে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিমা হওয়ায় প্রথম স্থান লাভ করেছিল। এবার কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির কমিটি সভাপতি দীলুপ বাবু জেলার শ্রেষ্ঠ হওয়ার আশানিয়ে অত্যাধুনিকভাবে দুর্গা মন্ডপ সাজানোসহ প্রতিমা তৈরী করেছে। এতে প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে বলে কমিটির সভাপতি দীলিপ বাবু জানিয়েছেন। সরকারীভাবে সহযোগিতা পাওয়া যায়। তাতে প্রতিমা তৈরীর খরচ যোগান হয়না। স্থানীয়ভাবে সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই ব্যয়বহুল খরচের যোগান দেয়া হয় বলেও তিনি জানান।