আনোয়ার এইচ খান ফাহিম,
ইউরোপীয় ব্যুরো প্রধান, পর্তুগালঃ
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দিশাহারা হচ্ছে দেশে ও প্রবাসে সবাই। প্রবাসীদের আয়ে যেসব পরিবার দেশে চলে সেসব পরিবারে এখন প্রবাসীদের আগের তুলনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিগুণের চেয়েও বেশী খরচ পাঠাতে হচ্ছে। এর বড় কারণ হলো দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ সব কিছুর দামের উর্ধগতি।
কেবল বাংলাদেশেই যে সবকিছুর দাম বেড়েছে এমনটা ভাবা সমীচীন নয়। জিনিসপত্র ও বাসাভাড়া বেড়েছে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে। এ বছরের শুরু থেকেই পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বিভিন্ন এলাকায় বাসাভাড়া বেড়েছে এবং অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। বিশেষ করে যে পণ্যগুলো আমদানির নির্ভর।
এরফলে প্রভাবে বেড়েছে তৈরী করা খাবারের দাম এবং বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা রুয়া দ্যু বেনফরমসো এর অনেক রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন খাবার ও মান্থলি খাবারের প্যাকেজ এর মূল্যও বেড়েছে। এতে বিপাকে আছেন প্রবাসে থাকা স্বল্প আয়ের মানুষজন যারা পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। বিশেষ করে কর্মহীন যারা আছেন তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। খাওয়া থাকার খরচ জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পর্তুগালের লিসবনে বসবাস করা ব্যক্তি জনাব মোহাম্মদ পারবেজ বলেন “কয়েক মাস আগেও তিনি বাজার করতেন যে খরচে এখন তার খরচ বেড়ে গেছে এবং বাংলাদেশে তার বাবা-মা সহ আরো কয়েকজন সদস্যের খরচ আগে যা পাঠাতেন তাতে হচ্ছে না, এখন দ্বিগুণ বা আরো বেশীও পাঠাতে হয়।”
তবে কেউ কেউ এ বিষয়ে ব্যাতিক্রম উত্তরও দিয়েছেন। অনেকে এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছেন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়।