আবুল হাসান মৃধা, ঝালকাঠি সংবাদদাতা : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ও ভূমি অফিসের সাঁজা প্রাপ্ত চিহ্নিত দালাল আমিনুল ইসলাম হিরণ নলছিটির বিভিন্ন এলাকার জমির অনুমতি পত্র জাল জালিয়াতি করে রমরমা বানিজ্যে মেতেছে। গত মঙ্গলবার জোনাল ভূমি অফিসার ও উপজেলা সহকারি ভূমি অফিসারের জাল স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে নলছিটি সেটেলমেন্ট অফিসে জমা দিতে আসলে কর্মকর্তাদের হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। পরে সহকারি ভূমি অফিসারের কাছে শর্ত সাপেক্ষ লিখিত দিয়ে সাময়িক ছাড়া পেলেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নলছিটি উপজেলা সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার আবদুস সালাম জানান, মঙ্গলবার সকালে আমিনুল ইসলাম হিরন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ফিরোজা বেগম, রাজনগর গ্রামের রুহুল আমিন ও ওহায়েদ তালুকদারের (১৯৭২৮,১৯৬২২, ১৯১২২ ও ১৯১২৫) নং রেজিস্টেশনের জমির অনুমতি পত্র জমা দিতে আসে। এসময় পেশকার মোজাম্মেল হোসেনের হাতে ওইসব কাগজ পত্রে জোনাল ভূমি অফিসার ও যুগ্ম সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং সহকারি ভূমি অফিসার আবদুস সালামের স্বাক্ষর ও সিল জাল বলে প্রমাণিত হয়। পরে সহকারি ভূমি আফিসারের কাছে ওইসব জাল কাগজপত্র জমা দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত দেয়ায় তাকে শর্তস্বাক্ষেপ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভূমি কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওইসব কাগজপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক অবহিত করে নলছিটি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, গত এপ্রিলে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হিরনকে ভূমি অফিসে দালালির অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক আবু হাসানাত মোহাম্মদ আরেফিন হাতেনাতে আটক করেছিল । পরে ছাত্রলীগ নেতাদের তদবিরে ১ হাজার টাকা জড়িমানা প্রদান করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিল। এরপর কিছুদিন ভূমি অফিসের কাছে না ভিরলেও বর্তমানে আবার কৌশল পাল্টিয়ে পুরোদমে জালজালিয়াতির রমরমা বানিজ্য শুরু করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা। এব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইনর্চাজ এজেডএম মাসুদুজামান জানান, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।