
সূত্র জানায়, ক্যাশ কাউন্টারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও মুদ্রা বিনিময়কারীদের প্রবেশাধিকার থাকলে নতুন টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হতে পারে এমন আশঙ্কায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকের মতিঝিল শাখার নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে নতুন টাকা উত্তোলনের সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি অফিসার (মুদ্রা সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান কর্মকর্তা) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,‘ঈদসহ যে কোনো উৎসবে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমরা বাজারে নতুন নোট ছেড়ে থাকি। এ সময় মুদ্রা বিনিময়কারীসহ বিভিন্ন দালাল চক্র এই সুয়োগে নতুন নোটের ব্যবসা করতে চায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা স্বজনদের নতুন টাকার চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে তারাও ক্যাশ কাউন্টারে ভিড় করতে পারেন। এ কারণে আমরা ক্যাশ কাউন্টারে তাদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহকরা কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই যেন নতুন টাকা পেতে পারেন এজন্য ক্যাশ কাউন্টারে প্রবেশাধিকারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।’
সাংবাদিকসহ অন্য পেশাজীবীদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঈদের আগে পৃথক একটি কাউন্টার চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এবার ঈদ ও রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন মূল্যমানের মোট ২০ হাজার কোটি টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে। এর মধ্যে নতুন নোট রয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। পয়লা রমজান থেকে এই টাকা বিতরণ শুরু হয়।