আবুল হাশেম,ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ) থেকেঃ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকায় নেতাই নদীর উপর সেতু না থাকাই প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।শুধু বর্ষার মৌসুমে নয় সারা বছরই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সীমান্ত এলাকার মানুষজনের। বছরে ৬ মাস নৌকায় আর ৬ মাস বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয় এখানকার মানুষ। বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেতুর জন্য আবেদন করে শুধু আশ্বাসই পেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবাযনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্ষা মৌসুমে নেতাই নদীর উপর নৌকা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে মটর সাইকেল,মালবোঝাই ঠেলাগাড়ি সহ অসংখ্য যানবাহন। পুঁটিমারি,গাছুয়াপাড়া,কালিকাবাড়ি,চারুয়াপাড়া,বাকপাড়া,ঘোষগাঁও সহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ নেতাই নদী দিয়ে নানা প্রয়োজনে উপজেলা সদরে আসেন। এছাড়াও নদীর আওতাভুক্ত রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দুটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নদী পার হচ্ছে। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি নায়েক দুলাল জানান ১৯৯২ সাল থেকে এলাকাবাসী সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানাচ্ছে কিন্তু কাঙ্খিত ফলাফল নেই।কালিকাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তারেক বলেন আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ নির্বাচনের আগে অনেকেই সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু পরে তা বাস্তবায়িত হয়না। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান আমি যখন থেকে মুটামুটি বুঝি তখন থেকেই শুনে আসছি নদীতে ব্রীজ হবে কিন্তু তা আর দেখা যাচ্ছেনা। বর্ষাকালে নদী পার হতে গিয়ে নেতাই নদীতে নৌকা ডুবে গত ৮ বছরে বাবা মেয়ে সহ কয়েকজন মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রতৌশলী শাহিনূর ফেরদৌস জানান নেতাই নদীতে নেতাই নদীতে ব্রীজ হওয়ার বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনে পাশ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন ধোবাউড়া হালুয়াঘাট আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। এ ব্যাপারে এমপি জুয়েল আরেং জানান ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি একনেকে অনুমোদনের চেষ্টা চলছে আশা করি খুব শীগ্রই তা সম্ভব হবে।