সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তারের লোকজন কর্তৃক ললিতা বেগম নামে এক বিধবা গৃহপরিচারিকাকে মারধরের ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে দৈনিক যায় যায় দিন ও দৈনিক আমার বাংলাদেশ নামে অনলাইন পত্রিকার ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মিঠু মিয়া বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে হুমকি দানকারি উপজেলার বৌলাম গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তারের ছোট ভাই সাকিন শাহ (৩০) ও তার বড় ভাই মোস্তাক হোসেনকে আসামী করা হয় ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার বৌলাম গ্রামের বাসিন্দা ললিতা বেগম নামে এক বিধবা গৃহপরিচারিকাকে একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তারের উপস্থিতিতে গত ২৯ আগষ্ট শনিবার সকাল ৭ টার দিকে তার ছোট ভাই সাকিন শাহ্, ভগ্নিপতি মোনায়েম মিয়া ও মামাত ভাই হায়দার মিয়া তার তিন জন মিলে ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুত আহত করে। গুরুত আহত ওই বিধবা গৃহপরিচারিকা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ দিকে সাংবাদিক মোঃ মিঠু মিয়া এ ঘটনার সংবাদটি ওই দিনই দৈনিক আমার বাংলাদেশ ও বর্তমান সিলেটসহ নামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
সত্য এ সংবাদটি প্রকাশ করার পর থেকেই ওই নারী ভাইস চেয়ারম্যানের বড় ও ছোট ভাইসহ তার লোকজন প্রকাশ্যে এমনকি মোবাইল ফোনে ও ফেইজবুকের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসায় সাংবাদিক মিঠু মিয়া চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এ অবস্থায় উপরোল্লিখিত লোকজনদেরকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মিঠু মিয়া বলেন,বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই নারী ভাইসচেয়ারম্যানের ছোট ভাই বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় তিন বছর সাজা ভোগ করে আসা শাকিন শাহসহ তার স্বজনেরা আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে তারা একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আরোও বলেন প্রভাবশালী চক্রটির দেয়া লাগাতার হুমকিতে নিরাপত্তার জন্য আমিও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় তিন বছর সাজা ভোগ করে আসা চাকুরীচ্যুত শাকিন শাহ্ বলেন, আমি সাংবাদিক মিঠু মিয়াকে কোন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা তার অভিযোগটি সমপূর্ণ মিথ্যা। বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় তার সাজা ভোগ করে আসা প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রসঙ্গে কোন কথা বলবেন না বলে ফোনটি কেটে দেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়টিকে কেন্দ্রকরে পৃথক দুইটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।