
নিজের মনোপুত না হওয়ায় ছুটি বাতিলের আবেদন করেছেন তিনি। তার আবেদনটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও সেটি অপেক্ষাধীন আছে।
জানা গেছে, প্রলয় জোয়ার্দার তার আবেদনে ছুটি শুরুর দিন নির্ধারিত না করে দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি যেদিন থেকে ছুটিতে যাবেন সেদিন থেকে ছুটি কার্যকর হবে এমনটা চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তার ছুটি কার্যকর করে। এ কারণে তিনি ছুটি বাতিলের আবেদন করেছেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া পর দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশে পরিচিতি পান প্রলয় জোয়ার্দার। পরে গত বছর তিনি পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন। আইজিপির বিশেষ আনুকূল্যে জ্যেষ্ঠদের টপকে এআইজির (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু তারপরেও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কে আছেন প্রলয় জোয়ার্দার। যদি আগামীতে সরকারে পরিবর্তন আসে তাহলে তাকে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে এমন আশঙ্কায় আগেভাগেই বিদেশ পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
এর আগে যোগাযোগ করা হলে প্রলয় কুমার জোয়ার্দার ছুটি নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘লন্ডনে বার-এট-ল করার জন্য দু’বছরের ছুটি নিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি ও পারিবারিক কিছু বিষয় চিন্তা করে ছুটি না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করেছি।’
কিন্তু রবিবার এ বিষয়ে কথার বলার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি ধরেননি। পরে তার মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘তার ছুটির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল এটুকুই আমি জানতাম। এর বেশিকিছু আমার জানা নেই।’