স্টাফ রিপোর্টার : দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার দিল্লির দ্রুতবিচার আদালতে এ রায় দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলো- অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিং। এর আগে গত ১০ সেপ্টেস্বর বুধবার আদালতে বলা হয়, আসামিরা ঠান্ডা মাথায় গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছিল।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী মেডিকেলের ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। ছয় পাষণ্ড ধর্ষণের আগে ছাত্রীর বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তাদের দুজনকেই চলন্ত বাস থেকে ফেলা দেয়া হয়। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ছাত্রীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সাহসের পরিচয় দেয়ায় ভারতের গণমাধ্যম ওই ছাত্রীকে ‘নির্ভয়া’ নামে অভিহিত করে।
ধর্ষণের ঘটনার প্রায় নয় মাস পর ভারতের দ্রুত বিচার আদালত শুক্রবার এই সাজার রায় ঘোষণা করেন।
এদিন বিচারক যোগেশ খান্না বলেন, ‘এই মামলা একেবারেই ব্যতিক্রমী। আসামিরা ওই ছাত্রীর উপর একেবারে শেষ পর্যন্ত নির্যাতন চালায়। সর্বোচ্চ সাজা তাদের প্রাপ্য।’ মৃত্যুদেণ্ডের ঘোষণার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামি বিনয়।
ছাত্রীর বাবা রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুবিচার পেয়েছি। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এপি সিংকে রায়ের পর নাটকীয়ভাবে চোখ মুছতে দেখা যায়। তার দাবি, জনগণ ও রাজনৈতিক চাপেই আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে।