শাহ্ আলম শাহী,স্টাফ রিপোর্টার,দিনাজপুর থেকেঃ দিনাজপুরে শীর্ষ ২ নব্য জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় ৪ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারীর করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ ৪ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে এ আদেশ দেন।
চাঞ্চল্যকর মামলার ওই ৪ সাক্ষী হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া গুচ্ছগ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোশাররফ হোসেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে আমির আলী, একই উপজেলার প্রাণনগর গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে এমদাদুল হক ও রইসউদ্দীনের ছেলে মহির উদ্দীন।
দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ আদালতে এ চাঞ্চল্যকর অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। দুপুরে এ মামলার আসামি নব্য জেএমবির শীর্ষ ২ সদস্য লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানভাষা গ্রামের শামসুল আলম খন্দকারের ছেলে মোসাব্বিরুল আলম খন্দকার ওরফে প্রিন্স (২৮) ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের সাখওয়াত হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে ডেনিসকে (৩০) কড়া পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে সমনজারী করা হয়েছিল। সমন পেয়ে মামলার এজাহারকারী বীরগঞ্জ থানার এসআই শাহাদত হোসেন মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে তার সাক্ষ্য প্রদান করেন। অপর ৪ জন সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদেরকে আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ প্রদান করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিকেলে দুই নব্য জেএমবি সদস্যকে কড়া পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠান।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের সিংড়া গুচ্ছগ্রামের সিরাজুল ইসলামের আলু ক্ষেত থেকে নব্য জেএমবির শীর্ষ এহসার সদস্য মোসাব্বিরুল আলম খন্দকারকে ৪২ রাউন্ড গুলি ও একটি অত্যাধুনিক রাইফেলসহ জনগণের সহায়তায় পুলিশ আটক করে।এ ঘটনায় বীরগঞ্জ থানার এসআই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলাটি দিনাজপুর ডিবি পুলিশের এসআই বজলুর রশিদ গত বছর ১০ জানুয়ারি তদন্ত করে নব্য জেএমবির এহসার সদস্য মোসাব্বিরুল ও শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন।