ব্রেকিং নিউজ
Home | আন্তর্জাতিক | তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে চলছে ওপেন চাঁদাবাজি

তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে চলছে ওপেন চাঁদাবাজি

মো : বোরহান উদ্দিন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রতিনিধি, ১৯ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিছিন্ন অবহেলিত তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে চলছে ওপেন চাঁদাবাজি। এসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও শতশত মানুষের কাছ থেকে প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা চাঁদা। চাঁদাবাজদের কথামতো চাঁদার টাকা না দিলে হতে হচ্ছে লাঞ্চিত ও নির্যাতনের শিকার। এসব দেখার পরও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নিরব দর্শকে ভূমিকায়। এলাকাবাসী সূত্র জানায়,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পাতারগাঁও,ইসলামপুর,কাঞ্চনপুর ও সোনাপুর গ্রামের আকবর মিয়া,নুরুল আমিন নুরু,ইব্রাহিম মিয়া,রহমত আলী,সোহেল মিয়া,আব্দুনুর মিয়া,নূর ইসলাম ও পাখি মিয়াসহ ১৫-২০জনের একটি সিন্ডিকেড তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের পাতারগাঁও নামক স্থানে বাঁশ ফেলে প্রতি মানুষ ৫টাকা,মোটর সাইকেল ১০টাকা,ঠেলাগাড়ী মালামালসহ ২০টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সরেজমিন তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের পাতারগাঁও যাওয়ার পর এব্যাপারে এসড়কের পথচারী সত্য রঞ্জন দাস,ঝুমা দাস,শিখা দাস বলেন,আমরা সরকারের নির্মানাধীন রাস্তার উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছি তারপরও প্রত্যেককে ৫টাকা করে চাঁদা দিতে হয়েছে। কিন্তু কেন নিচ্ছে এই টাকা,এখানেতো পানিও নেই,খেয়া নৌকাও নেই। তাহিরপুর সদরের মোটর সাইকেল চালক আলমাছ মিয়া,কবির হোসেন বলেন,এই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করলে প্রতি মোটর সাইকেলে ১০টাকা করে চাঁদা দিতে হয়,না দিলে গাড়ি রেখে দেয়,প্রতিবাদ করলে লাঞ্চিত করে। সূর্য্যেরগাঁও গ্রামের গৌতম দাস বলেন,বাইসাইকেল নিয়ে আসার পথে আমার কাছে ১০টাকা চাঁদা চাইলে আমি দেইনি,তাই চাঁদাবাজরা আমাকে মারধর করতে আসে। এব্যাপারে চাঁদা আদায়কারী আকবর মিয়াসহ অন্যান্যরা বলেন,আমরা বাদাঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে রাস্তা লীজ নিয়ে চাঁদা তুলছি। এব্যাপারে চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন,ইউএনও’র কাছ থেকে লিজ নিয়ে তারা (চাঁদাবাজরা)রাস্তা থেকে টাকা তুলছে,এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাদাঘাট ও পাতারগাঁও এলাকার বাসিন্দারা বলেন,এব্যাপারে অভিযোগ করে কোন লাভ হয়না,কারণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিয়ে ম্যানেজ করে প্রতি বছর খেয়াঘাটের নাম ব্যবহার করে এরাস্তায় ওপেন চাঁদাবাজি চলে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,নির্মানাধীন রাস্তায় চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে চাঁদা তুলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি,তারপরও যদি চাঁদা তুলা হয় তাহলে চেয়ারম্যানসহ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

x

Check Also

‘গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশন ইন স্পেন’ নির্বাচনে মুজাক্কির – সেলিম প্যানেল বিজয়ী

জিয়াউল হক জুমন, স্পেন প্রতিনিধিঃ সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে গঠিত গ্রেটার ...

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা

আনোয়ার এইচ খান ফাহিম ইউরোপীয় ব্যুরো প্রধান, পর্তুগালঃ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার ...