স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বেশির ভাগ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে কিছু সংসদীয় আসনে ব্যতিক্রমও দেখা যাচ্ছে। এমন একটি আসন হলো ঢাকা-১১। এখন পর্যন্ত এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে একজনের নামই শোনা যাচ্ছে- বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত বাড্ডা থানা ও ভাটারা থানার বেরাইদ ইউনিয়ন, ভাটারা ইউনিয়ন ও সাঁতারকুল ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এর বেশির ভাগ এলাকা ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের আওতাধীন ছিল। আসন পুনর্বিন্যাসের পর ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে বিএনপির প্রার্থী এম এ কাইয়ুমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ কে এম রহমত উল্লাহ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
রহমত উল্লাহ গত বছর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
চারবারের সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহ ১৯৮৬ সালে প্রথম ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হন জাতীয় পার্টির টিকেটে। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকেটে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনীতিবিদের প্রয়োজন। সেই হিসেবে এ আসনে রহমত উল্লাহর বিকল্প কোনো প্রার্থী গড়ে ওঠেনি। ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে আরও সুসংগঠিত করছেন তিনি। প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিটিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
এ ছাড়া নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। নির্বাচনী এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নেও তিনি সব সময় সক্রিয়। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বিকল্প দেখছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এলাকার উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার তা-ই তিনি করছেন। তাই তার চেয়ে ভালো প্রার্থী আর কে থাকবেন? তার সাথে নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণের ভালো সম্পর্ক আগেও ছিল এখনো আছে। তার সাক্ষাৎ পেতে কোনো ভোগান্তি পেতে হয় না। আমরা আমরা মনে করি আগামী দিনেও তিনি দলের মনোনয়ন নিয়ে এ আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হবেন।
জানতে চাইলে এ কে এম রহমত উল্লাহ বলেন, এটা আমাদের বাপ-দাদার এলাকা। আমি বাইরে থেকে আসিনি। আমার নানা এ এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন। আমিও ২৬ বছর বয়সে গুলশান এলাকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। আমি মানুষের সেবক, যত দিন বেঁচে থাকব তাদের সেবা করে যাব। আমি তাদের কাছ থেকে নিতে নয়, দিতে এসেছি। তাই এ এলাকার মানুষ আস্থা রাখেন আমার ওপর।’