হুমায়ুন কবির,কালিয়াকৈর প্রতিনিধি ॥
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড়ে সড়ক ও জনপথের জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। রোববার দুপুরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
সড়ক ও জনপথ সুত্রে জানা যায়,ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা-নবীনগর অংশের চন্দ্রা ত্রি-মোড়ে ৪ লেনের প্রকল্পের ফ্লাইওভার ব্রীজের জন্য বরাদ্ধকৃত সড়ক ও জনপথের জমিতে অবৈধভাবে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীরা অর্ধশতাধিক ঘর ও দোকানপাট তৈরি করে দখলে রাখে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বারবার সড়িয়ে নেয়ার তাগিদ দেয়। সড়িয়ে না নেয়ায় রোববার দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান,ভাই কিং সিএনজি এন্ড ফিলিং ষ্টেশনের দক্ষিন পাশে সড়ক ও জনপথের জমিতে অবৈধ ভাবে একটি মৎস্য আড়ৎ গড়ে তুলা হয়। যেখানে ১০/১৫টি দোকান ঘরও রয়েছে। এছাড়া মৎস্য আড়ৎ এর পাশে স্থানীয় মোঃ মজিবুর রহমান ইয়াসিন, মজিবর ,সেলিম হোসেন, শরীফ হোসেন, মনির হোসেনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানপাট গড়ে তুলে। এসব স্থাপনায় হোটেল, চাউলের দোকান, কলার আড়ৎ, চায়ের দোকান এবং অটোমোবাইলসের দোকান করা হয়।এসময় মহাসড়ক ৪ লেনের উন্নীত করণ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার রুকনুজ্জামান, গাজীপুরের সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বসির খান, শারমিন সুলতানা, কালিয়াকৈর থানা পুলিশসহ সড়ক ও জনপথের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উচ্ছেদের পর উদ্ধারকৃত জমিতে বিকেলে মহাসড়ক ৪ লেনের উন্নীত করণ প্রকল্পের নির্মান সামগ্রী বালু,খোয়া,পাথর ফেলে নিজেদের দখলে নেয় সড়ক ও জনপথ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ৪ লেন প্রকল্পের ফ্লাইওভার ব্রীজের জন্য বরাদ্ধকৃত জমিতে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ থেকে লীজ নেয়া ভাইকিং সিএনজি ষ্টেশন ও টাওয়েল টেক্স লিমিটেড কারখানা রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাদের স্থাপনা সড়িয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
