হুমায়ুন কবির,কালিয়াকৈর প্রতিনিধি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে খানা খন্দের কারনে পরিবহন চলছে ধীরগতিতে। এ কারনে ওই মহাসড়কে তৃতীয়দিনেও যানজট লেগেই আছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ক্যাডেট কলেজ এলাকায় শনিবার অতি বর্ষণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে গর্ত হওয়ার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজট সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। এ যানজট মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকা থেকে কালিয়াকৈরের জিরানী এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। এ কারণে এতে বিভিন্ন গন্তব্যের সাধারণ যাত্রী,স্থানীয় স্কুলের মডেল টেষ্ট পরীৰার্থীসহ কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।বাস যাত্রী স্বপন সিকদার জানান, মির্জাপুর থেকে কালিয়াকৈর আসতে মাত্র ১০ কিলোমিটার রাস্তা আসতে তার সময় লেগেছে দেড় ঘন্টা। যেখানে সময় লাগার স্বাভাবিকভাকে কথা মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট। টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে অতি বৃষ্টির কারণে মহাসড়ক ধসে যাওয়া এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান ওই যাত্রী। কোনাবাড়ী/সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী মোহাম্মদ হোসেন সরকার জানান, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে অতি বৃষ্টির কারণে মহাসড়ক ধসে যাওয়ায় যানবাহন পাসিং করতে সমস্যা হওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, বৃষ্টি কমলে ধসে যাওয়া সড়ক মেরামত করা হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ যানজট মির্জাপুর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে জিরানী বাজার ছাড়িয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। তবে চন্দ্রা-জয়দেবপুর অংশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি ও বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ রাস্তায় খানা-খন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ঢালাই উঠে ছোট-বড় অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য কয়েকটি স্থানে সড়ক কাটা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পানি জমে রয়েছে। এ কারণে যানবাহন খুবই ধীর গতিতে চলছে। তবে বৃষ্টি কমে গেলেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও তিনি জানান। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
