সরদার ফজলুর হক, ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক একটি বে-সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিপুল পরিমান সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লভস জব্দ করা হয়। ঘটনার ৩দিন পেরিয়ে গেলেও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে চাপাােভ বিরাজ করছে।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রতিবছর বিপুল পরিমান ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরকারী ভাবে সরবরাহ করা হলেও তা রোগীদের ভাগ্যে জুঁটে খুবই সামান্য। অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে সরকারীভাবে সরবরাহকৃত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর বিরাট একটি অংশ কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়। মাঝে মধ্যে ছিটেফোঁটা ধরা পড়লেও পার পেয়ে যায় দোষীরা। গেল মঙ্গলবার দিনগত রাতে ডিমলা উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারী অনুমোদন বিহীন ডিমলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার নামে একটি বে-সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রের ষ্টোর রুম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রাফা মোহম্মদ আরিফ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সিল মোহরকৃত প্রায় ১হাজার সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লভস জব্দ করেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের জিজ্ঞাসাবাদে জনৈক রফিকুল ইসলাম নিজেকে মালিক পক্ষের একজন দাবী করে বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্রের ব্যবসায়ী পাটনার ডিমলা সরকারী হাসপাতালের উন্নয়নখাতে নিয়োগ প্রাপ্ত বহিঃবিভাগের কম্পাউন্ডার সফিয়ার রহমান ৪ দিন আগে ওই সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লভস গুলো এখানে নিয়ে আসে। এছাড়া এলাকায় ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডার সফিয়ার রহমান দীর্ঘদিন থেকে সরকারী বিভিন্ন প্রকার ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রীর ওই চিকিৎসা কেন্দ্রসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ওষুধের দোকান এবং বেসরকারী ক্লিনিক গুলোতে সরবরাহ করে আসছে। তবে এসব অভিযোগ সফিয়ার রহমান অস্বীকার করলেও কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকেসহ দোষীদের বাঁচার জন্য প্রশাসনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নানাভাবে তদবির করছে। অপরদিকে এলাকার সচেতন মহল সফিয়ার রহমানসহ দোষীদের শাস্তির দাবী তুলেছেন। উল্লেখ যে, ঘটনার ৩দিন পেরিয়ে গেলোও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাংবাদিকদের জানান, সরকারী সম্পদ তছরুপ ও মজুদ রাখার দায়ে নিয়মিত মামলা করার জন্য থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।