অমিত বনিক অপু, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলায় ৬৪ স্থানে রয়েছে স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। স্থানীয় খামারি ও দূর-দূরান্ত থেকে ফরিয়াদের নিয়ে আসা গরুতে এখন সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে হাটগুলো। তবে আর ২ দিন পরেই ঈদুল আজহা পালন করা হবে কিন্তু পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের আগ্রহ এখনও তেমন একটা দেখা যায়নি। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে হাট ইজারাদাররা।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, সদর উপজেলায় পশুর হাট রয়েছে ১৬ টি। এরমধ্যে অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে শহরের গুরুদাম ও পিপলিতা এলাকার শিমুলতলা বাজারে। নলছিটি উপজেলায় হাট রয়েছে ১৮ টি। এরমধ্যে অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে শহরের চায়না মাঠ ও কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিম ঢালে। রাজাপুর উপজেলায় হাট রয়েছে ১৬ টি। এরমধ্যে অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে আলগী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে। কাঠালিয়া উপজেলায় হাট রয়েছে ১৪ টি। এরমধ্যে অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বটতলা বাজারে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি জেলায় প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজা করণের খামারী রয়েছে ৩ হাজার ২ শ ৬৬ জন। এঁদের খামারে গরু মোটাতাজা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯শ ৩৩ টি। সদর উপজেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রত্যেক খামারীকে প্রথমে গাভীর বাচ্চা (বাছুর) নির্বাচনের পর কৃমি মুক্ত করতে হবে। প্রাকৃতিক ঘাস, দানাদার খাবার, খৈল, ভূষি, ভাতের মাড় এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরী ইউরিয়া মোলাসেস স্টপ (ইউএমএস) পদ্ধতি ব্যবহার করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন উপায়ে গরু মোটাতাজা করা হয়ে থাকে।