স্টাফ রিপোর্টার : মেয়ের মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে পাঁচতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন আখতারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
বিকেলে প্রথমে আহতাবস্থায় নাজনীনকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানের চিকিৎসকরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নাজনীন মাথায় আঘাত পান এবং তার হাত-পা ও পাজরের হাড় ভেঙে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তবে সিটি স্ক্যান ও এক্সরে রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা আশ্বস্ত করেন যে তার মারাত্মক কিছু ঘটেনি। সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে।
অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে সহকারী অধ্যাপক ডা. হরিদাস সাহা প্রতাপ. ডা. নাজমুল হাকিম শাহীন, ডা. আবদুল হালিম টাবলু ও আবাসিক সার্জন ডা. আশফাক উদ্দীন জানান, নাজনীনের অপারেশন সার্থক ভাবেই শেষ হয়েছে। তবে এখন সে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যায় আবার যায়ও না। তবে মেজর কোন সমস্যা নেই, আশা করছি তার অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। তবে মানসিক আঘাতটা সামলে নেয়াটাই মূল কাজ।’
উল্লেখ্য গাজী টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার রকিবুল ইসলাম মুকুল এবং জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন আখতারের একমাত্র মেয়ে চন্দ্রমুখী লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচদিন ধরে ঢাকা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার বিকেলে মারা যায়।
এ সংবাদ শুনে কল্যাণপুরের নিজের বাসায় পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন মা নাজনীন আখতার।