জাকির হোসেন পিংকু,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে গত প্রায় চার মাস যাবৎ একাধিক বিকাশ,ফ্লেক্সি লোডের দোকান,বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,রেস্তোঁরা ও বাড়িতে ভীতিকর সিরিয়াল চুরিতে জড়িত তিন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত বুধবার রাত আটটায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর ও দাসপুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে বহরমপুরের বাবু খানের ছেলে ইমরান খান(২১), ওই এলাকার ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া (১৯) ও দাসপুকরের বাবলু হোসেনের ছেলে বাপ্পী হোসেন (১৯)। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সহায়তায় এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় এদের নিকট চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন বিকাশ,ফ্লেক্সি লোডের দোকান হতে চুরি যাওয়া ৪টি মোবাইল ফোন সেট ও ১টি ট্যাব উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিশদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ জানান,বেশ কিছুদিন যাবৎ তাঁরা আন্ত:জেলা সংঘবদ্ধ চোর চক্রটিকে সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছিলেন। গত বুধবার সদর থানায় একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে অভিযান চালিয়ে পেশাদার চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ চক্রের মূল হোতা সহ জড়িত অনান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) মাহবুব আলম জানান, রাজশাহী থেকে এসে চুরি করে চলে যাওয়ায় এদের গ্রেপ্তার কঠিন হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, গত চারমাসে ধারাবাহিক ও আতংকজনক চুরির ঘটনাগুলিতে সদর থানায় একাধিক মামলা,জিডি ও লিখিত অভিযোগ করে শহরবাসী। জমা দেয়া হয় সিসিটিভিতে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মূল অপরাধী গ্রেপ্তারে সফল হয়নি পুলিশ। এমনকি তাদের সাঁড়াশি অভিযানেও উল্লেখযোগ্য কেউ ধরা পড়েনি। তবে মুল হোতাদের সহ চোর চক্রগুলি ধরার ব্যাপারে আশাবাদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাবের রেজা। তিনি জানান, চেষ্টা চলছে। এদিকে ক্ষোভ নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন শহরবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ ব্যাপারে অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেও একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁরা। এক বা একাধিক চোর চক্র অভিনব কায়দায় তালা,সাটার বা কলাপসিবেল গেট ও জানালা ভেঙ্গে,টিনের ছাদ কেটে এমনকি এগজষ্ট ফ্যানের সরু ফুটো দিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে ঘরে ঢুকে চুরিগুলি সংঘটিত করছে। এসব ঘটনায় একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।