স্টাফ রিপোর্টার, ১২ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রেপ্তারে দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা আতঙ্কে দলীয় কার্যালয়ে আসছেন না। এজন্য হরতালে তালাবদ্ধ অফিসে ভেতরে-বাইরে নেই কোনো নেতাকর্মীর আনাগোনা।
বিগত দিনের হরতালে সকাল থেকেই কার্যালয়ের সামনে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। এছাড়া দলের সরব নারী নেত্রীরাও মঙ্গলবারের হরতালে অনুপস্থিত।
নেতারা কী কারণে, কেন কার্যালয়ে আসছেন না এ ব্যাপারে দায়িত্বে থাকা দারোয়ানও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে সাড়ে আটটার দিকে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে একজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ভিড় জমে মিড়িয়া কর্মীদের। তিনি বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে তিনি জানান, ভোর পাঁচটা থেকে তিনি কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকার যেভাবে দমন-পীড়ন নীতি চালাচ্ছে। এতে করে এক দফা এক দাবির আন্দেলন ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল যেভাবে কার্যালয় তছনছ করে সিনিয়র নেতা-কর্মীদের টেনে হিছড়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এরকম হতে পারে তা জানা নেই। এজন্য হরতাল ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।’
বিএনপির ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই দলীয় কার্যালয় ঘিরে পুলিশের রয়েছে কড়া নজরদারি। পুলিশি পাহারার পাশাপাশি শুধু মিডিয়া কর্মীদের আনাগোনায় মুখরিত এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
উল্লেখ্য, সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত-বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে আশপাশের দোকানপাট ভাঙচুর করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।
পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ বিক্ষুব্ধ কর্মীদের লক্ষ্য করে ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
একসময় পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয়া নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সেখান থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির শহতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।