মোঃ আবুল হোসেন সরদার , শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক এর বিরুদ্ধে এক গৃহ বধূকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের দক্ষিন খান পাড়া খালাসী কান্দি গ্রামের দরিদ্র মুনির খার স্ত্রী পারুল বেগম জানান, সে দীর্ঘ দিন যাবত খালাসী কান্দি মামার বাড়িতে তার স্বামী মুনির হোসেনকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। পারুলের স্বামী মুনির পেটের তাগিদে সুদুর চাঁদপুরে একটি ফার্ণিচার দোকানে কাজ করে। স্বামীর অবর্তমানে কোদালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক একই বাড়ির মামা সম্পর্কের খবির খান তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে গৃহবধূ রাজি হয়নি। দীর্ঘ বসবাসের মাঝে একদিন খবির খান গৃহবধূকে সুকৌশলে মামার বাড়ির ওয়ারিশের জমি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে গৃহবধূর কাছ থেকে আধা কানি জমির পাওয়ার অব এটনীর অজুহাতে রেজিষ্ট্রি দলিল করে নিয়ে যায়। পরে পারুল এ বিষয়টি জানতে পালে খবির খাকে জিজ্ঞাসা করে। খবির খা বলে তুই আমার কথা রাখলে তোর জমি ফেরত দিয়ে দিব। নচেৎ আমি তোর জমি ফেরত দেবোনা। গত রোববার দিবাগত রাতে পারুল শরীর খারাপ লাগার কারনে সন্ধ্যা রাতেই শুইয়ে থাকে। রাত অনুমান ১১ টায় একই বাড়ির মামা সম্পর্কের কোদালপুর ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খবির খান ২ সন্তানের জননী পারুল কে ঘরে একা পাইয়ে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। পারুল টের পাইয়ে শোর চিৎকার দিতে চাইলে খবির খান বলে বাড়িতে পুলিশ আসছে। আমি তোর ঘরে পালাবো। একটু পরে চলে যাব। কথা বলিস না। গ্রামের অবলা নারী অসহায় দরিদ্র গৃহবধূর সরলতার সুযোগে ৭ সন্তানের জনক লম্পট খবির খান ঘরে ঢুকেই তার দীর্ঘ দিনের খায়েশ মিটাতে পারুলের মুখ চেপে ধরে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। এ সময় পারুলের স্বামী বাড়ি ছিলেন না। গৃহবধূ পারলের আতœচিৎকারে পাশের ঘরে থাকা তার খালা হোসনে আরা বেগম এসে খবির খাকে ঝাপটে ধরে চিৎকার দেয়। অনেক ধস্তা ধস্তা করে খবির খান পারুলকে কিল ঘুষি মেরে ছুটে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর পারুলের বিছানার কাছে খবির খানের ব্যবহৃত চশমা, টুপি ও একটি নোটবুক ফেলে যায়। এ সব উদ্ধার করে পারুল রাতেই পার্শ্ববতী ফিরোজ মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। মেম্বার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজান সরদারকে জানালে সে গোসাইরহাট থানা পুলিশের খবর দেয়। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূ পারুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পারুল বাদী হয়ে খবির খানের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। আসামী খবির খান পলাতক রয়েছে। মামলা হওয়ার পর খবির খানের আতœীয় স্বজনরা মামলা তুলে নিতে পারুলকে হুমকি প্রদান করেছে। খবির খান এ ব্যাপারে ধর্ষনের কথা অস্বীকার করে বলেন আমার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে কাদালপুর ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খবির খান বলেন, এ ঘটনা ঙ্গে আমি জড়িত নয়। একটি মহল আমার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা দায়ের করেছে।
গোসাইরহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছ। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
Home | বিবিধ | আইন অপরাধ | গোসাইরহাটে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ২ সন্তানের জননী গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ