এম শিমুল খান, খুলনা প্রতিনিধি, ৭ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : খুলনায় জামায়াত শিবিরের ও বিএনপির ডাকা টানা ৩ দিনের হরতালে খুলনার ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে খুলনার ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক খোভের সৃষ্টি হয়েছে। খুলনার বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো ও ব্যবসায়ীরা হরতাল না করার জন্য বিরোধী দলসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে বার বার অনুরোধ করেছে। এ ছাড়াও হরতাল প্রত্যাহারের দাবি জানালেও হরতাল সমর্থনকারী দলগুলোর মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া ল্য করা যায়নী। খুলনার ব্যবসায়ীরা দাবি করেছে, এক দিনের হরতালে দেশের ছয়শ’ কোটি টাকা তিগ্রস্থ হয়। খুলনার দোকান, শপিং মল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মতে, টানা ৩ দিনের হরতালে এ তির পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। খুলনার ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, হরতালে দোকানপাট খোলা রাখতে সরকারের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। মার্কেটের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা যাতে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলতে পারে সে ল্েয সরকারের সহযোগিতা বাড়ানো উচিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুলনার বড় বাজারের একজন ব্যবসায়ী ােভ প্রকাশ করে বলেন, বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের ব্যবসায়ীদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। এেেত্র ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনে হরতাল সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। হরতালে খুলনাসহ দেশের আমদানি রপ্তানির তি পুষিয়ে নেয়া কষ্টকর। এছাড়া ভোমরা ও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের অবস্থা করুণ। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চার হাজার কোটি টাকার বেশি তি আশঙ্কা করা হচ্ছে অর্থনীতিতে। অপরদিকে সাতক্ষীরার ভোমরা ও যশোরের বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে না পারায় প্রতিদিনের জন্য জরিমানা গুণতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়বে পণ্যের উৎপাদন খরচে, ভোক্তার ক্রয় মতায়। ‘হরতাল এখন পিকেটিংয়ে সীমাবদ্ধ নেই এটা এখন সহিসংতায় পৌঁছে গেছে। এ সহিংসতা দিন কে দিন ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি কাজী আমিনুল হক। তিনি বলেন, এখন যানবাহনে নয় মানুষের ওপরও পিকেটিং ও গুলি করা হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হচ্ছে। হরতালে বিদেশি উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকদের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। অর্থনীতিতে এর দীর্ঘ মেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।