অনিরুদ্ধ রেজা,কুড়িগ্রাম : নিখোঁজের ৩দিন পর কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঔষুধ, ডিলারশিপ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং-ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের মরদেহ তার প্রতিষ্ঠানের ভ্যান চালকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভ্যান চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার সাতানিপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যার পর মাথা থেতলে দেয়া হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম। রাতে পৌর এলাকার জোড়া ব্রিজ নামক স্থানে রাস্তার ধারে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়। এরপরই জহুরুল ইসলামের ডিলার ব্যবসার পন্য সামগ্রী পরিবহনকারী ভ্যানচালক ও ভ্যানচালকের নানী শ্বাশুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নাগেশ^রী থানা পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম নাগেশ্বরী পৌর সভার আশারমোড় এলাকার মৃত মইনুদ্দিনের পুত্র। নিহতের স্ত্রী লাইজু বেগম জানান, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি জহুরুল। তার ভ্যান চালকের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা ছিল।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম জানান, ভ্যান চালক ও তার নানী শ্বাশুরী বৃদ্ধা ছাপিয়া বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক জাহাঙ্গীর প্রাথমিকভাবে জহুরুলের ব্যবসার টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো অনেকেই জড়িত আছে বলে জানিয়েছে জাহাঙ্গীর আলম।