স্টাফ রিপোর্টার, ৬ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গজনবীপুর ও ঝাউদিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের পৃথক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ওই দুই এলাকায় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের গজনবীপুর গ্রামে হরফ মণ্ডল ও নবীছদ্দিন মণ্ডলের লোকজনের মধ্যে অনেকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নবীছদ্দিন মণ্ডলের লোকজন ঢাল, সড়কিসহ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হরফ মণ্ডলের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংঘর্ষ চলাকালীন বুকে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত নজরুল, রফিকুল, নবীন ও নবীছদ্দিন মণ্ডলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত আল আমিন, রফজেল ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার।
এদিকে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিশারত মণ্ডল ও ফজলু মেম্বারের লোকজনের মধ্যে বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল ইমাম জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।