কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পদ্মা নদীর বারো মাইল এলাকার পাড় ঘেসে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে গ্রামবাসী। শতশত বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী লাঠি শোটা নিয়ে নদীতে সমাবেত হয়ে বালি উত্তোলন রুখে দেয়। এসময় বন্ধ হয়ে যায় বালু উত্তোলন কাজ। সোমবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নদী তীরবর্তী এলাকায় চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। যে কোন সময় দুটি গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, পদ্মা নদীর ১২ মাইল এলাকায় এবছর নতুন করে চর জেগেছে। এ চরের বালি দখল নিতে চায় বালু মহলের নিয়ন্ত্রকরা। তারা কয়েকদিন ধরেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। এতে গ্রামবাসী বাঁধা দেয়। এরপরও বালু মহলের নিয়ন্ত্রকরা সোমবার ভোর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন শুরু করে। এ সংবাদ পেয়ে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বারোমাইল এলাকার গ্রামবাসী লাঠি-সোঠা নিয়ে নদী পাড়ে সমাবেত হয়। এসময় বালি উত্তোলনকারী ও উত্তেজিত গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তপ্ত কথা বিনিময় হয়। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে গ্রামবাসী বালি উত্তলনকারীদের ধাওয়া দেয়। পরে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে বালি উত্তোলন করতে না দেওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে এলাকাবাসী শান্ত হয়। মকলেছুর রহমান নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, পদ্মা নদীর পাড় ঘেসে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দুরে নদীর এত কাছ থেকে বালি উত্তোলন করার ফলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই আমাদের নদী পাড়ের ৩-৪ গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। সে আরও জানান, আমরা গ্রামবাসী বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের গ্রাম রক্ষার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছি। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম জানান, উত্তোলনকারীদের বালি উত্তোলন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। নদী পাড়ের গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করে নদী তীরবর্তী এলাকায় বালি উত্তোলনের নীতিমালা চুড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বালি উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
Home | সারা দেশ | কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিল গ্রামবাসী: দুই গ্রুপে উত্তোলন