গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ভুয়া পূজা মন্দির দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এ ধরণের অনিয়ম সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
জানাগেছে, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে চলতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কাশিয়ানী উপজেলার ২৩৮ টি মন্দিরে ১১৯ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
এরমধ্যে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের তারাইল মাঝিবাড়ী দুর্গা মন্দির ও পরানপুর ঋষিবাড়ী দূর্গা মন্দিরে এ বছর কোন পুজার আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ (পিনু) মন্দির দুটির নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের ১ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের যোগসাজসে ওই চাল উত্তোলন করে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরানপুর ঋষিপাড়া দূর্গা মন্দিরের সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে বল্লাম এবার আমাদের বাড়ীতে পুজা হচ্ছে না। তাই চাল উত্তোলন করবো না। কিন্তু চেয়ারম্যান জোর করে আমাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে নিয়ে গিয়ে ডিও লেটারে সই নেন।
তারাইল মাঝিবাড়ী দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, আমি লেখাপড়া জানি না। রেজাউল মেম্বার মন্দির সংস্কারের জন্য অনুদান এনে দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড নেয়। পরে আমাকে কাশিয়ানী অফিসে নিয়ে কাগজে সই দিতে বললে আমি সই দেই।
এ ব্যাপারে রাতইল ইউপি চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ পিনুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করছে।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মাঈনউদ্দিন বলেন, এ ধরণের কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।