কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি ॥
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবীতে বৃহস্পতিবার আয়মন টেক্সটাইল এন্ড হোসিয়ারী লিমিটেড কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এঘটনায় পুলিশ-শ্রকিমদের মাঝে সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য সদস্যরা হচ্ছেন- শিল্প-পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) হারুন-অর-রশিদ, কনস্টেবল জুয়েল রানা, জাকারিয়া, আমিরুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, রায়হান হোসেন। আহত শ্রমিকদের মধ্যে সুফিয়া আক্তার,শাহনাজ আক্তার,রীনা,আরবী আক্তার,রানাকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান,ঈদুল আযহার আগের মাসের ১১ দিনের বকেয়া বেতন,হাজিরা বোনাস ১০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের কথা থাকলেও কর্মকর্তারা পরিশোধ করেননি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কারখানার দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক বেতনের দাবীতে কর্মবিরতী শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে মেইন গেইটের সামনে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলে শিল্প-পুলিশ উপস্থিত হলে শ্রকিমরা গেইটে তালা দিয়ে আটকিয়ে দেয়। পুলিশ কারখানার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এঘটনায় পুলিশ লাঠি চার্জ করলে পুলিশ ও শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এতে ৭ পুলিশসদস্যসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কারখানার এজিএম নাসির উদ্দিন বালী জানান, বেতন দেয়া নিয়ে ভূল বোঝাবুঝির কারণে এঘটনা ঘটেছে। বেতন দেয়া শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার খরচ কারখানার পক্ষ থেকে দেয়া হবে বলে জানান। শিল্প-পুলিশ গাজীপুর-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মকবুল হোসেন জানান,পুলিশের উপর ইট-পাটকেল মারার পর টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি করে পরিসি’তি শান্ত করা হয়েছে।
