হুমায়ুন কবির,কালিয়াকৈর প্রতিনিধি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে দুদিনের টানা বর্ষনে জনদুভোর্গ চরম আকার ধারন করেছে।বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ বেশী ভোগান্তিতে পরেছে।কলোনী বাসাবাড়ী, রাস্তা ঘাট, হাট বাজার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কোন কোন এলাকায় জলাব্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকায় পানি জমে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর পৌরসভার হরিনহাটি এলাকায় সড়কের উপর পানি জমে জলাব্ধতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সফিপুর আনসার একাডেমী ৩নং গেইট, পুর্বচান্দরা, চন্দ্রা পলৱী বিদ্যুত, রাখালিয়াচালা,মৌচাক, নিশ্চিতপুর, হরতিকীতলা, ডাইনকিনি, বিশ্বাসপাড়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। অতি বৃষ্টির ফলে বেশীর ভাগ রাস্তাঘাট ছিল ফাকা। মহাসড়কের কোথাও ছিল প্রচুর যানজট। কোথাও কোথাও শিৰা প্রতিষ্টানে নির্ধারিত পরীৰা ও ক্লাশ হয়নি। হাট বাজারগুলো লোকজনের সমাগম তুলনামুলক কম ছিল। বেশ কিছু এলাকায় রাস্তা ডুবে গিয়ে লোক চলাচলে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে। হরিন হাটি এলাকার অধিকাংশ বাসা বাড়ীতে পানি উঠে লোকজনের বসবাসে অনউপযোগী হয়ে পরে। ওই এলাকার ঘরবাড়ী ডুবে একাকার হয়ে গেছে। হরিনহাটি এলাকায় মহাসড়কের পাশে ড্রেন ভরে পানি উপচে উঠে সড়কে পানি জমে যায়। এ ছাড়া রাখালিয়াচালা এলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ীতে পানি উঠেছে। হরিনহাটি এলাকার আলমগীর জানান, হরিনহাটি পুরো এলাকায় পানি উঠে গেছে। লোকজন পানির উপর বসবাস করছে। প্রতিটি ঘরে পানি উঠে বিছানাপত্র ভিজে গেছে। মানুষের ওই পানির উপর বসবাস করা কষ্টদায়ক হয়ে পরেছে। পৌর কমিশনার সামছুল আলম জানান, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে পানি নেমে যাবে।
