মোঃ চঞ্চল বাবু, কালাই প্রতিনিধি, ১৯ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : কালাইয়ে স্বামীর নির্মম নির্যাতনে প্রাণ হারালো এক সন্তানের জননী শাপলা। নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শাপলার মুখে বিষ ঢেলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরহাতাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট মর্গে প্রেরণ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
জানা গেছে,কালাই উপজেলার শিকটা গ্রামের মৃত আব্দুল ফকিরের পুত্র মাসুদুল ফকিরের (৩২) সাথে পার্শ্ববতী শিবগঞ্জ উপজেলার আফসন গ্রামের তছির উদ্দীনের কন্যা শাপলার (২৫) বিয়ে হয় বছর দুই আগে। এরই মধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তাও জন্ম নেয়। কিন্তু স্বামী প্রতিদিনই নেশা করে বাড়ি ফিরাকে কেন্দ্র করে দাম্পদ্য কলহের সৃষ্টি হয়। যার সমাপ্তি ঘটলো শাপলার মর্মান্তিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
গ্রামবাসিরা জানায়, স্বামী মাসুদুল স্ত্রী শাপলাকে বেধরক মারপিট করে। স্বামীর নির্মম নির্যাতন সইতে না পেরে এক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শাপলা । এ সময় মাসুদুল ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শাপলার মৃত্যু হয়েছে ভেবে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে কালাই হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় সে মারা যায়।
শাপলার পিতা তছির উদ্দীন অভিযোগ করে করে বলেন, বখাটে স্বামীকে ভালো করতে গিয়ে আমার মেয়েকে জীবন দিয়ে তার খেসারত দিতে হবে এমনটি ভাবিনি। যেভাবে নির্যাতন করে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে তা শিউরে উঠার মতো। আর যেন কোন মেয়ের বাবাকে আমার মতো সন্তান হারা হতে না হয়, সে জন্য প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আর এ জন্য আমি থানায় মামলা করবো।’
এ ব্যাপারে কালাই হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আবু হোসেন মন্ডল বলেন, ‘বিষ খাওয়া রোগী হিসেবে শাপলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে সে চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কালাই হাসপাতালের আরএমও’র মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে লাশের রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।