স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হচ্ছে-আপিল বিভাগের রায়ের পর এটা নিশ্চিত হওয়ায় যারপরনাই খুশি যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আপিল বিভাগের রায়ের পর পর তারা এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, জাতি প্রত্যাশিত রায় পেয়েছে। তিনি বলেন, মিরপুরে কাদের মোল্লা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাতে তার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় প্রত্যাশা ছিল জাতির। ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে যাযজ্জীবন সাজা দেওয়ায় জাতি হতাশ হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের আপিল বিভাগ জাতির সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। যেগুলো মামলা আপিল বিভাগে আছে সেগুলোও দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করেন সারওয়ার আলী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় তরুণ প্রজন্মের বিজয়। তিনি বলেন, এই রায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জয় হয়েছ। এই রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।
কাদের মোল্লার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সানাউল হক বলেছেন, তারা যে কষ্ট করেছেন, আজ তা সার্থক হয়েছে। তিনি বলেন, এই মামলায় তারা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সব অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তা প্রমাণ হলেও যে সাজা দেয়া হয়েছিল তাতে তারা অবাক হয়েছিলেন। আপিল বিভাগের রায়ে এই অপ্রাপ্তির বোধ দূর হলো।
কাদের মোল্লার মামলার সাক্ষী শহীদুল হক মামা বলেন, কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুরে যে নৃশংসতা করেছেন, তাতে ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় হতে পারে না। আপিল বিভাগ এই রায় দেয়ায় চার দশকের বেদনাবোধ অবশেষে দূর হলো।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান বলেন, বিচার বিলম্বিত হলেও অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এই রায়ে আমরা আনন্দিত।