স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে একই মামলায় হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিলে এতে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। তবে আজকের রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘জাতি দীর্ঘদিন ধরে এই রায়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড জনগণ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল একই ভাবে এই রায়কে দেশের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে।
আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, ‘রায়ের পর জাতির প্রত্যাশা আরো বেড়ে গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয় হয়েছে। একাত্তর সালে মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার বিজয় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিজয়ের পথ বেয়ে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, শেষ হাসিটা হাসার জন্য রায় বাস্তবায়নের জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে। যতোটা দ্রুত সম্ভব এই রায় বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ রায় জনগণের প্রত্যাশিত রায় হয়েছে। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের আত্মার শান্তি আসবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন,‘এই রায়ে আমি খুশি হয়েছি। অনেক দিনের চাওয়া পূরন হয়েছে। এ জন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই বিচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে এই বিচার যাতে অব্যাহত থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।’
সাহসিকতার সাথে বিচার পরিচালনার জন্য তিনি ট্রাইব্যুনালকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এখন এই রায়ের বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করছি। যেদিন এই রায় বাস্তবায়িত হবে সেই দিন অনেক শান্তি পাবো।’