ইকবাল মাহমুদ (হিরু), ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামাতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদের মোল্যার ফাঁসির রায়ে খুশি তার নিজ এলাকা ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ। ফাঁসির রায় ঘোষনা হবার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকেই। তারা চাইছেন দ্রুত এ রায় কার্যকর করার। ফরিদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ বলেন, কাদের মোল্যা যুদ্ধকালীন সময়ে যে ঘৃন কাজ করেছে এতদিনে তার যে ফাঁসি হয়নি তাইতো অবাকের বিষয়। এই রাজাকারের ফাঁসি যাতে দ্রুত হয় তার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে আমি আবেদন জানাই। ফরিদপুরের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, আব্দুল কাদের মোল্যা কসাই কাদের নামে পরিচিত ছিল। তার সাথে অসংখ্য নারী-পুরুষ হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। আজ তার ফাঁসির রায় শুনে আমরা উল্লসিত। গনজাগরন মঞ্চের কর্মী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, রাজাকার কাদের মোল্যার যাবজ্জীবন সাজা হবার পর আমরা গোটা ফরিদপুরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছিলাম তার ফাঁসির দাবিতে। আজ আমাদের আন্দোলন সার্থক হয়েছে। আমরা চাই শেখ হাসিনার সরকার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কুলাঙ্গারদের দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করবে। সাংস্কৃতিক কর্মী ও আইনজীবি সুচিত্রা সিকদার বলেন, কাদের মোল্যার রায়ে আমরা ফরিদপুরবাসী খুশি হয়েছি। এতদিন ফরিদপুরবাসী কুলাঙ্গার কাদের মোল্যার যে কলংক বয়ে বেড়াচ্ছিল তা কিছুটা হলেও মোচন হলো। ফরিদপুর জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট খসরুজ্জামান দুলু বলেন, কাদের মোল্যার রায় যাতে দ্রুত কার্যকর হয় সেজন্য আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাই। আব্দুল কাদের মোল্যার রায় ঘোষনার পর ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এদিকে, কাদের মোল্যার রায় ঘোষনার পর ফরিদপুর জেলা ও কাদের মোল্যার নিজ গ্রামের বাড়ী সদরপুরের আমিরাদ গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। সদরপুরে র্যাব ও পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।