ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : নয়গজ কাপড়ের ভাঁজে নিজেকে সাজান বা আপদমস্তক দেহ আবৃত করুন- ভারতের কর্নাটক রাজ্য সরকার নারী চাকুরেদেরকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর কর্মক্ষেত্রে ‘উত্তেজক পোশাক’ পরিধান বিষয়ে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নারীদের জিন্স, বাহারি, খোলামেলা বা ফিতা, তার ও গিঁট দিয়ে বাঁধা টপস পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে জিন্স-টিশার্ট পরে কর্মক্ষেত্রে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারের পছন্দসই পোশাকের তালিকায় রয়েছে- নারীদের জন্য শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজ এবং পুরুষদের জন্য শার্ট-ট্রাউজার ও কুর্তা-পায়জামা।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নতুন কনিষ্ঠ চাকুরেদের পোশাক-পরিচ্ছদ কোনো কোনো প্রবীণের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারা এই বিষয়ে কারো কাছে অভিযোগ করতে পারেননি। কারণ এই বিষয়ে কোনো লিখিত নিয়ম ছিলো না। তাই এই পোশাকী আদেশ জারি করা হয়েছে বলে কর্মচারি ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের সচিব শালিনী রজনীশ জানান।
তিনি আরো জানান, যেহেতু কর্মক্ষেত্রের পরিধেয় পোশাক বিষয়টি একটি সংবেদনশীল বিষয়। তাই সরকার এই বিষয়ে কর্নাটক রাজ্য সরকারি চাকরিজীবি সমিতির সঙ্গে পরামর্শ করেছে এবং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার অনুমতি নিয়েছে।
সরকারের এই ব্যাখ্যা কর্মজীবি নারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ‘কোন ব্যক্তি কী পোশাক পরে অফিসে আসবেন এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনো শর্তারোপ করতে পারে না। এই সিদ্ধান্তের ভার ব্যক্তির ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। যদি এই ধরনের নিয়ম করা হয়, তাহলে গণতন্ত্র কোথায়?’ বলেন মহিশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টর ফর উইমেন্স স্টাডিজ এর পরিচালক এস এম মঙ্গলা।