ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। দ্রুত সংক্রমিত এই ভাইরাস রুখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আক্রান্ত দেশগুলো। তারই অংশ হিসেবে করোনা রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাকে। সেখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং কেউ বাহির হতে পারবে না। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮ জন নিহত এবং দুই জন সুস্থ হয়েছেন।
বিশ্বের জনবহুল শহরের মধ্যে অন্যতম ম্যানিলা। এই শহরে কোয়ারেন্টাইন (পৃথকীকরণ) আরোপ করার মধ্য দিয়ে দেশটির কর্মকর্তারা আশা করছেন যে, এর মাধ্যমে দেশব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে।রাইফেল নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর প্রবেশপথ বন্ধ করে টহল দিচ্ছে। ১২ মিলিয়ন জনসংখ্যার রাজধানীতে এক মাসব্যাপী এই বিচ্ছিন্নতা (আইসোলেশন) বজায় থাকবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডুয়ার্ডো আনো শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, জনসাধারণকে বাড়িতে অবস্থানের কথা বলা হয়েছে। তাদেরকে বাইরে কাজে না যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা দু’মাস আগে ইতালির মতো ছিলাম। তারা লকডাউন চাপিয়ে দেবে কিনা তা নিয়ে তর্ক চলছিল। ফিলিপাইনে এমন পরিস্থিতি উদ্ভব হবে তা হতে দেওয়া যাবে না।
তবে ম্যানিলা শহরটির সব অংশই বন্ধ করে দেওয়া যায়নি। কাজ করতে যাওয়া লোকদের চেকপয়েন্টগুলোর মাধ্যমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। বাস এবং ট্রেন কেবলমাত্র ম্যানিলার সীমানার ভেতরে চলবে।
রবিবার অবরুদ্ধ হওয়ার আগেই ম্যানিলার বাসিন্দারা মুদি দোকানগুলো থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে রেখেছে। কয়েক হাজার মানুষও বাসে চড়ে রাজধানী ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে।
এছাড়া সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ফিলিপাইন।সকল স্তরে ব্যাপক জমায়েত এবং স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দূতার্তের এই বিলম্বিত ব্যবস্থা কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মনে প্রশ্ন জেগেছে।