স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের মতো আপিল বিভাগের রায়ের পরও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়াহীন বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির চার সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের কেউ এই রায় নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ আছে বিএনপি। একসঙ্গে আন্দোলন ছাড়াও সরকার গঠন করেছে দল দুটি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীর দুই প্রধান মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মন্ত্রিত্বও দেয় বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ২০০৬ সাল থেকে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হলে এ নিয়ে কখনই কিছু বলতে রাজি হয়নি বিএনপি। জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদ-ের পর দেশজুড়ে গণজাগরণমঞ্চের আন্দোলন শুরু হলে কয়েকদিন চুপ থেকে পরে স্বাগত জানায় বিএনপি। তবে পরে এই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি।
আবার ট্রাইব্যুনালের বিচারের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান না নিলেও এই বিচার আন্তর্জাতিক মানের না বলে বক্তব্য দিয়েছেন দলের নেতারা। তবে এই আন্তর্জাতিক মান বলতে কী বোঝায় তাও পরিস্কার করেননি তারা। ট্রাইব্যুনালের ছয়টি রায়ের পর বিএনপি নেতারা কখনই এ নিয়ে কিছু জানাননি। দলীয়ভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে-এমন কথা জানালেও পরে তা জানানো হয়নি।
আবার গত দুইদিন রংপুর এবং রাজশাহীতে সমাবেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পরোক্ষভাবে জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সরকার জামায়াত নেতাদেরকে নির্যাতন করছে বলে রবিবার রংপুরের জনসভায় অভিযোগ করেছেন খালেদা জিয়া। পরদিন রাজশাহীর জনসভায় তিনি সব রাজবন্দির কথা বলে পরোক্ষভাবে জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি ব্যস্ত আছি পরে যোগাযোগ করেন’।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এম শামছুল ইসলামের কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোন ধরনের মন্তব্য করতে চাই না’। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি রায় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে এটা বলতে পারি, সরকারের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হয়েছে। তবে বিচার এখনো শেষ হয়নি। জামায়াত এখনো আপিল করতে পারবে’।