স্টাফ রিপোর্টার, ১৩ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নাম পরিবর্তনের হিড়িক পড়েছে। এ নিয়ে নতুন বিতর্কের মধ্যে পড়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। রকিব-মোবারক কমিশন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগদানের পর প্রথমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (ইসি) নাম পাল্টে ফেলেন। সর্বশেষ সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ঠিকানাও পাল্টে ফেলা হচ্ছে।
ইসির নাম পাল্টানোর ঘটনায় কঠিন সমালোচনার মুখে পড়ে কমিশন। কারণ নির্বাচন এবং বিধি সংশোধনের মধ্যে না থেকে ইচ্ছানুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কমিশনাররা। এবার ওয়েবসাইটের ঠিকানা পরিবর্তন করে নিজেদের জাত চেনালেন ওনারা (কমিশনাররা)!
কমিশন সচিবালয়ের ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা জানান, সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত কাজকে গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন নাম পরিবর্তন ও বানান সংশোধনের বিষয়েই ব্যস্ত আছেন এই কমিশনার।
জানা যায়, ওয়েবসাইটের ঠিকানা পরিবর্তন নিয়ে গত ১১ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বরাবর একটি লিখিত নোট প্রেরণ করেন আবদুল মোবারক। সিইসি ওই নোটটি ইসির আইটি বিভাগে কর্মরত সিস্টেম ম্যানেজারকে ফরোয়ার্ড করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা এর বিরোধীতা করে জানান, জনগণের অর্থ অপচয় করার অধিকার কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত ব্যক্তির নেই। অহেতুক এসব নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি থেকে সরে না এলে কমিশনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে বলে জানান তারা।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক তার নোটে লেখেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব ঠিকানা www.ecs.gov.bd. এতে সরকারের অধীন নির্বাচন কমিশন তা ইঙ্গিত করে। অথচ ২০০৯ সালের ৫ নম্বর আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে সরকারের অধীনস্থতা থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে এবং সেভাবে সরকারের রুলস অব বিজনেস সংশোধন করে তা থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাদ দেয়া হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে উপরোল্লিখিত ওয়েব ঠিকানা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই `www.ec.bd.org’ এমন একটি ওয়েব ঠিকানা রেজিস্ট্রেশনের পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয় অনুগ্রহ করে বিবেচনা করার জন্য পাঠালাম।
এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বর্তমান কমিশনের কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সাংবিধানিক পদে বসে এভাবে যেনতেন কাজ করে প্রতিষ্ঠানটিকে বিতর্কের মধ্যে ফেলার কোনো মানেই হয় না।’
এসব থেকে নিজেদের দূরে রেখে নির্বাচনমুখি হওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক কমিশনারনা।