রিপোর্টার : চাঞ্চল্যকর পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন পলাতক ও তাদের মেয়ের বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে (৩০) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে রাজধানীর বাড্ডা থানার আফতাব নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মনিবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
তবে গ্রেফতারসহ এ মামলার সকল বিষয়ে ডিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানানো হবে।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জনিকে গ্রেফতারে পরপরই মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাতভর তাকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে বিস্তারিত জানানো হতে পারে।
ঐশীর ঘনিষ্ট বলে দাবি করে তদন্ত চলাকালীন সময়ে ডিবি পুলিশ বলেছে, ঐশীর পাশাপাশি জনি সরাসরি হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকা বা পরোক্ষভাবে ঐশীকে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি মোটামোটি স্পষ্ট।
তবে রিমান্ডে থাকাবস্থায় ঐশী জনি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। সে হত্যায় জনির থাকার কথা বলে পরবর্তীতে আবার বলেছে জনি তাকে পরোক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী, গৃহপরিচারিকা সুমি ও ঐশীর বন্ধু রনিকে গ্রেফতার হয়েছে।
বর্তমানে কারাগারে থাকা এর মধ্যে ঐশী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে পরবর্তীতে তা প্রত্যাহারের আবেদন করে আদালতে। অন্যদিকে রনি দুই দফা রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐশীর বয়স বিতর্ক উঠায় তার বয়স পরীক্ষায় ডাক্তারী পরীক্ষা করে ১৯ বছর হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আলামত উদ্ধার করে ফরেনসিক রিপোর্ট করার পর এবং ডিবি সর্বশেষ তদন্তে ঐশী তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে এবং জনিসহ অন্যরা সহযোগিতা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর ২ চামেলী বাগের ৬ তলার ৫-বি ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজ রহমান (৪৫) ও স্বপ্না রহমানের (৪২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয় পুলিশ।