স্টাফ রির্পোটার : নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর সেনানিবাসে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ডিএসসিএসসি ২০১৮-২০১৯ কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেকেই যখন সেতু নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়ায়, তখন আমরা বলেছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করবো। এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন জেনেছে আমরাও পারি।’
এ সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে সশস্ত্র বাহিনীকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির কল্যাণে গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামরিক বাহিনীর গ্র্যাজুয়েটসদের সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীও। আমরা আমাদের উন্নয়নের কার্যক্রমের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে ডিফেন্স কলেজেরও আধুনিকায়ন করা হবে। ’
বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় দুর্নীতি ও দুর্যোগের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১ হাজার ৭৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হযেছি। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’
সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামের মানুষও যাতে নাগরিক সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ’