ব্রেকিং নিউজ
Home | আন্তর্জাতিক | উন্নত দেশের প্রতি স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেয়ার আহ্বান

উন্নত দেশের প্রতি স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার, ১২ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : টেকসই উন্নয়নের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থ, জ্ঞান ও প্রযুক্তি সহায়তা দিতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের প্রশ্নে যদি আমরা সত্যিকারভাবে আত্মনিয়োগ করি, তবে প্রত্যেক দেশকে তার আর্থিক, জ্ঞান ভাণ্ডার, প্রযুক্তি এবং সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
মঙ্গলবার সকালে রূপসী বাংলা হোটেলে পপুলেশান ডাইনামিকস বিষয়ক দু’দিনব্যাপী গ্লোবাল লিডারশিপ মিটিং উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০১৫ সাল পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা বিষয়ে বৈশ্বিক আলোচনায় বিবেচনার জন্য তিন দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও সুইস সরকার যৌথভাবে দু’দিনের এ বৈঠক আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম সুপারিশে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে লাখ লাখ যুবক এবং প্রশিক্ষিত ব্যক্তিকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ক্রমবর্ধমান যুব শ্রেণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে এসব যুবদের বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সুতরাং শিক্ষার গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে বাজারের চাহিদা অনুসারে কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। এদের এমন জ্ঞান ও দক্ষতা বিষয়ে পারদর্শী করতে হবে, যা ভৌগোলিক সীমারেখার বেড়াজালে সীমাবদ্ধ না থাকে।’
দ্বিতীয় সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী মানুষের বিচরণকে নিজস্ব আকাঙ্খা, অনিবার্য এবং পারস্পরিক কল্যাণকর হিসেবে বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, একে উৎপাদনশীল প্রচেষ্টা হিসেবে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মানুষের অধিকতর বিচরণ উৎস ও গন্তব্য উভয় দেশের জন্যই কল্যাণকর। বিশেষ করে অনেক উন্নত দেশের জনসংখ্যার গতিধারা পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এটা এখন বাস্তবতা।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বিচরণশীলতা টেকসই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটা নিশ্চিত করতে হলে একজন অভিবাসীকে উন্নয়ন এজেন্ট হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার তৃতীয় সুপারিশে ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতাকে মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সবসময়ই উদ্ভাবনমূলক অংশীদারিত্ব বিষয়ে উদার নীতি গ্রহণ করে আসছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা আমাদের সম্পদের এবং সামর্থ্যের সবটুকু নিয়োজিত করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক ড. বাবাতুন্দে অসোতিমেহিন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইং, সুইস এজেন্সি ফর ডেভোলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের ডাইরেক্টর জেনারেল মার্টিন দাহিনদেন, সাসটেইনেবল ডেভেলাপমেন্ট গোলস, বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. কাজী খলিকুজ্জামান।
x

Check Also

‘গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশন ইন স্পেন’ নির্বাচনে মুজাক্কির – সেলিম প্যানেল বিজয়ী

জিয়াউল হক জুমন, স্পেন প্রতিনিধিঃ সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে গঠিত গ্রেটার ...

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা

আনোয়ার এইচ খান ফাহিম ইউরোপীয় ব্যুরো প্রধান, পর্তুগালঃ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার ...