
বৈঠকের কথা মির্জা ফখরুল ইসলাম সকাল থেকে অস্বীকার আসলেও হান্নান শাহ তা স্বীকার করে নিলেন। হান্নান শাহ রবিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, সংলাপের সফলতা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্তরিকতার ওপর।
শনিবার রাতে বনানীর একটি বাসায় তাদের দুজনের মধ্যে বৈঠক হয় বলে অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে মির্জা ফখরুল রবিবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এ খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তবে বক্তব্য পাওয়া যায়নি সৈয়দ আশরাফের।
সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ও বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা ফখরুলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার মূল বিষয় স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার দুপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফকে টেলিফোন করেন। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে রাতেই তাঁরা মুখোমুখি বসেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টার পর বিএনপি চেয়ারপাসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন,মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এমন প্রচারণা ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। আমাদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য একটি মহল এমন গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, বৈঠক তো হয়ই নি বরং এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয়নি।
গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেন এবং বিএনপিকে ওই সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এর তিন দিন পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে নির্দলীয় সরকারের পাল্টা প্রস্তাব তুলে ধরেন।