বিনোদন প্রতিবেদক : বর্ষীয়ান অভিনেতা খলিল এই সময়ে এসে বলা যায় একরকম অবসর সময়ই পার করছেন। একের পর এক প্রায় একই বয়সের সহকর্মীরা পরপারে চলে যাচ্ছেন। এ কারণে যেন তার নিজেকে নিয়েও ভাবনাটা একটু বেশি চলে এসেছে। তাই যখনই সময় সুযোগ মিলছে তখনই ছুটে বেড়াচ্ছেন নিজের প্রিয় প্রিয় জায়গায়।
খলিলের জন্ম সিলেটের কুমার পাড়ায়। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব কৈশোর। মাঝে কিছুদিন ছিলেন মৌলভীবাজারেও। তাই মৌলভীবাজারও তার মনের মধ্যে গেঁথে আছে। গত সপ্তাহে তাই সময় করে কয়েকদিনের জন্য সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।
খলিল বলেন, ‘বয়স হয়েছে। কখন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয় জানি না। তাই নিজের প্রিয় প্রিয় জায়গাগুলো আবার ঘুরে ঘুরে দেখছি। বেশ ভালোই লাগছে। মৌলভীবাজার ঘুরে এলাম। অনেক স্মৃতিই চোখের সামনে ভেসে উঠলো। চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছিলো। কী, অদ্ভূত মানুষের জীবন। সময় চলে যায়, বয়স বেড়ে যায়। পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। এটাই জীবন।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পরপারের ডাকে চলে গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলেও আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর আগেই পরিবারের কাছে না করেছিলেন বিধায় তাকে সেখানে নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ের সূত্র ধরে খলিল বলেন , ‘আপনাদের সবার কাছে বলে যাচ্ছি আমার মৃত্যুর পর আমার লাশ আমার বাড়িতেই যেন রাখা হয়। এফডিসি বা অন্য কোথাও যেন না নেয়া হয়। আমার বাড়ির পাশে কবরস্থান আছে । এখানেই যেন আমাকে কবর দেয়া হয়। অযথাই আমার লাশ নিয়ে টানাটানি যেন কেউই না করেন। ’
এদিকে বর্তমানে খলিল ঘরে বসেই সময় পার করছেন। নিজের অভিনীত ছবি কখনো টিভিতে দেখলে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে সে ছবি দেখেন এবং পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন।