মো: বুরহান উদ্দিন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
হাওর-বাওর-খাল-বিল ও নদী নালার দেশ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ধল আশ্রম গ্রামে ১৯১৬ ইংরেজীর ১৫ ফেব্রুয়ারী এ কাল জয়ী পুরুষ শাহ আব্দুল করিম জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম ইব্রাহীম আলী, মাতার নাম নাইওরজান বিবি। ভাটির নিজস্ব পরিবেশ ও প্রকৃতি এখানকার মানুষদের করে তোলে ভাবুক, আউল, বাউল, শাহ আব্দুল করিম তাদের মধ্যে একজন। কৃষি-মজুর অভাবী পরিবারে তাঁর জন্ম। অভাবের সাথে যুদ্ধ করে তিনি জয়ী হয়েছেন। সংসার ত্যাগ করে শাহ আব্দুল করিম একতারা হাতে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন। তিনি হয়েছেন বাউল। তার অমর কৃর্তি দিয়ে তিনি মানুষের মনের সম্রাট হয়েছেন। তাই বাউল ভক্তরা তাঁকে বাউল সম্রাট উপাধিতে ভুষিত করেছেন। শাহ আব্দুল করিমের জীবন পর্যালেচনা করলে দেখা যায়, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র নির্বাচন, ৬৯’র গণআন্দোলন, ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি পর্যায়ে স্বরচিত গণসঙ্গীত পরিবেশন করে জনতাকে দেশ মাতৃকার টানে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করেছেন। তিনি তার গানের জন্য ২০০৪ সালে ২ শে পদকে ভুষিত হন। এ বাউল সম্রাট লাখো ভক্তদের শোক সাগরে ভাসিয়ে ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। শাহ আব্দুল করিমের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর জোহরের নামাজের পর বাউল সম্রাটের মাঝারে মিলাদ মাহফিল, আছরের নামাজের পর আলোচনা সভা ও এশার নামাজের পর শুরু হবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বাউলদের নিয়ে বাউল গানের আসর। করিমপুত্র নূর জালাল এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।