অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রতারণা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির পৃথক পৃথক ঘটনায় একই ইউনিয়নের ৩ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
থানা ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মগরা গ্রামের ব্রজেন জয়ধরের ছেলে বিকাশ জয়ধর ঢাকায় গার্মেসে চাকুরী করার সুবাদে একই গার্মেসের কর্মী খুলনা নিরালা এলাকার সিদ্দিক হাজীর মেয়ে পারভীন আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের দীর্ঘ সময় পরে পারভীন বিয়ের দাবি করলে বিকাশ পালিয়ে গ্রামে চলে আসে। খোঁজ নিয়ে পারভীন বিকাশের গ্রামের বাড়ী বড়মগরায় এলে গ্রাম্য সালিশে সমাধানের কথা বলে বাকাল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নয়ন বৈষ্ণব ওরফে ভোলানাথ ও ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিত শিকারী পারভীনকে নানামুখী প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। এঘটনায় শনিবার পারভীন আক্তার বাদী হয়ে প্রেমিক বিকাশ জয়ধর, ইউপি সদস্য ভোলানাথ এবং অজিতের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করে। একইদিন সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন তার অনুসারি ক্যাডারদের ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে পার্শ্ববর্তী রামানন্দের আঁঁক বাজারে দু’দফা হামলা চালিয়ে ৫টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় ব্যবসায়ী সমীর গাইন সুব্রত গাইন, সমীর রায়, সুশীল গাইন, তপন মজুমদার, স্থানীয় শিবুলাল মিস্ত্রী, জয়দেব গাইন, ঊষা রাণী, সুশান্ত, পরিতোষ, উৎপলসহ ১৫ জন আহত হয়। এসময় ওই বাজারে দুর্গা ও রাধাগোবিন্দ মন্দিরের বিগ্রহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শংকর ও শায়ন বল্লভকে গ্রেফতার করে। এঘটনায় ইউপি সদস্য কামাল হোসেনকে হুকুমদাতা উল্লেখ করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
Home | বিবিধ | আইন অপরাধ | আগৈলঝাড়ায় একদিনে পৃথক দু’টি ঘটনায় এক ইউনিয়নের ৩ মেম্বরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের