জুবের সরদার দিগন্ত, দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধি : দিরাইয়ের পল্লীতে প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের মারপিট ও অপবাদ সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেছিয়ে হিজল গাছের ডালে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জে নিয়ে ময়না তদন্তের পর সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে ফেরত দিয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের সিংহনাথ গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামেরই মৃত অশ্বিনী বিশ্বাসের ছেলে লিলু বিশ্বাসের সাথে প্রেম ছিল উপেন্দ্র বিশ্বাসের ১৯ বছরের মেয়ে শিখা রানী বিশ্বাসের। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল, সালিশ বৈঠকও হয়েছে একাধিকবার কিন্তু কিছুতেই ছেলের পরিবার ওই মেয়েকে ঘরে তুলতে রাজি হয়নি। শিখার বাবা উপেন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার সকাল বেলা আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয় লিলু, বিকেলে লিলুর পরিবারের লোকজন শিখাকে নানা ভাবে অপবাদ দেয় ও মারপিট করে, রাতে আমার প্রতিবেশি রইছ উদ্দিন ও পার্শ্ববর্তী জগদল গ্রামের বদরুল হোসেন আমার মেয়েকে আহত অবস্থায় সেখান থেকে নিয়ে আসেন, এ অপবাদ সইতে না পেরে শুক্রবার ভোর রাতে শিখা ঘরের পেছনে হিজল গাছের ডালে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে।
গ্রামের ইউপি সদস্য মহিতোষ তালুকদার বলেন, প্রায় সাত বছর যাবৎ লিলু ও শিখার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শিখাকে লিলুর বাড়িতে দেখেছি, শিখাকে লিলুর পরিবারের লোকজন মারপিট করে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে তার বাবা আমাকে জানিয়েছে, ঘটনার পর লিলু বাড়ি থেকে পালিয়েছে, এ আত্মহত্যার জন্য লিলু ও তার পরিবারই দায়ি। শিখার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী লিলু ও তার পরিবারের লোকজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে তার বড় ভাই সিলেট এমসি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র যুগেন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এর আগেও আমার বোন শিখাকে এভাবে মারপিট করে অপবাদ দেওয়া হয়েছে, ্আমরা গরীব তাই বিচার পাইনি। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামও আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী লিলু তার মা ও ভাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। থানার ওসি এনামূল হক বলেন, শিখার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন অভিযোগ তারা পাননি, অভিযোগ পেলে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দন্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা নেয়া হবে।